ইরাক ও সিরিয়ার ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গণহত্যা, অপহরণ, যৌন দাসত্ব ও অন্যান্য অপরাধের মধ্য দিয়ে আইএস এ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টিকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন সংস্থাটির তদন্তকারীরা।
সিরিয়ায় জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের প্রধান পাউলো পিনহেরিও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইয়াজিদি গণহত্যা হয়েছে এবং তা চলছে। আইএস এর হাতে আটক প্রতিটি নারী, শিশু এবং পুরুষ ভয়াবহ নৃশংসতার শিকার হয়েছে। আইএস এর হাতে এখনও বন্দি অন্তত তিন হাজার ২শ’ নারী ও শিশুকে উদ্ধারের জন্য এক প্রতিবেদনে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন নিরপেক্ষ তদন্তকারীরা। তাছাড়া, আইএস এর অপরাধের বিষয়টি বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) তোলারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ইয়াজিদিরা না মুসলিম, না আরব। তাদের নিজস্ব ধর্মবিশ্বাস রয়েছে। আইএস জঙ্গিরা তাদেরকে বিধর্মী ও বহু ঈশ্বরবাদী বলে মনে করে। ইরাকের উত্তরাঞ্চলের সিনজারে বেশির ভাগ সংখ্যালঘু ইয়াজিদিরা বাস। তারা কুর্দি ভাষায় কথা বলে। ২০১৪ সালের আইএস জঙ্গিরা ইরাকের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন অংশে ঢুকে পড়ে অনেক ইয়াজিদিকে হত্যা ও অপহরণ করে। হাজার হাজার ইয়াজিদি সে সময় প্রাণভয়ে সিনজার পর্বতে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে পানি ও খাবার ছাড়া মানবেতর জীবন কাটায়।
জাতিসংঘ গতবছর ইয়াজিদিদের বিরুদ্ধে আইএস গণহত্যা চালাচ্ছে- এমন ধারণা প্রকাশ করে সতর্ক বার্তা দিয়েছিল। এবার জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের তদন্তকারীদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিষয়টি আরও সুস্পষ্ট হল।