জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজুল ইসলাম করোনা ভাইরাসের লকডাউনে ঘরেবন্দি আছেন। এখন সব ধরনের শুটিং থেকে তিনি দুরে আছেন বলে জানান। তাই ঈদেও ঘরে ছিলেন।
অভিনেতা ডা. এজাজ বলেন, বাড়িতে ছেলের সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়েছি। ঈদের আনন্দ ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়ার মধ্যে। সবার সঙ্গে কোলাকুলি করার মধ্যে। কিন্তু এবার আমাদের সেটি হলোনা।
করোনাভাইরাস ও পাকবাহিনীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই বলেও মন্তব্য করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, যুদ্ধের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে। তখন পাকিস্তানিদের ভয়ে সবাই ঘরবন্দি ছিলো। এখন করোনা ভাইরাস আমাদের ঘরে বন্দি করে রাখছে। সারা বিশ্ব থমকে আছে। জানিনা কবে আমাদের মুক্তি হবে।
ডা. এজাজ বলেন, একটা শ্রেণীর মানুষ নিয়ম মানছে বলে তিনি দাবি করেন। অন্যরা নিয়ম নীতির বাইরে জীবন যাপন করেছেন। অনেক শিক্ষিত লোক বাইরে ঘুরছেন, শপিং করছেন। এখন যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে আর কবে হবো। সচেতন না হইলে করোনা থেকে আমাদের কেউ রক্ষা করতে পারবেনা। সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে।
ডা. এজাজ নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরেই অভিনয় ভুবনে পথচলা শুরু করেন। অসংখ্য নাটকে কাজ করে পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র শ্রাবণ মেঘের দিন। এর পর তিনি দুই দুয়ারী (২০০১), চন্দ্রকথা (২০০৩), শ্যামল ছায়া (২০০৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি তারকাঁটা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত হন।
মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘তারকাঁটা’ ছবিতে অভিনয় করে জিতে নিয়েছেন সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। অভিনয়ের বাইরে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন।
এজাজুল ইসলাম ১৯৮৪ সালে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।