ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ক্ষতির মুখে রাজশাহী অঞ্চল

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড রাজশাহী অঞ্চল। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে বহু আম ঝরে পড়েছে । ডালপালা ভেঙে এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে আম বাগান মালিকরা। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা না গেলেও শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ আম নষ্ট হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ফলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমের। করোনার কারণে আম বাজারজাতকরণ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বাগান মালিকরা। গাছের আম ঝরে পড়ায় চাষিদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। তারা বলছেন, এবার এমনিতেই আমের ফলন কম। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দাম পাওয়া নিয়েই ছিলেন অনিশ্চয়তায়। তার ওপর ঝড়ে আম ঝরে পড়ায় ফলনও কমে গেল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বলেন, রাতেই বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে আমরাই জেলা প্রশাসককে জানিয়েছিলাম যে, ২০ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে। তবে সকালে আমরা বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করে দেখেছি ক্ষতির পরিমাণ আরেকটু কম। শহর এবং অন্য উপজেলাগুলোতে ১৫ শতাংশ আম ঝরে পড়ার দৃশ্য দেখেছি।

আমচাষি নাজমুল বলেন, বাগানে ঢিলের মতো আম পড়েছিল। তারা কুড়িয়েছেন। আচারের জন্য দুই থেকে পাঁচ টাকা কেজি দরে এসব আম বিক্রি করতে হবে। আর কয়টা দিন গেলেই এসব আম পরিপক্ব হয়ে যেত। এখন বাগানের ফলন কমে যাবে। এবার আমে লাভ হবে না বলেই মনে করছেন তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা বলেন, আম ঝরে গেলে তো ফলন কমবেই। এখন চাষিরা যদি আমের ভালো দাম না পান তা হলে হয়তো এবার তারা ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই আমের যেন সঠিক মূল্য পাওয়া যায় তার জন্য যা যা করা দরকার আমাদের করতে হবে।

ঝড়ে রাজশাহীর অন্য কোনো ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। মাঠে পাকা ধান আছে। সেগুলো মাটিতে শুয়ে গেছে। তবে ধান পেকে যাওয়ায় চাষিরা তা এখন কেটে নেবেন। তাই ধানের ক্ষতি হবে না। তবে কিছু ধান ঝরে যেতে পারে। মাঠের সবজির কোনো ক্ষতি হবে না।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে শুরু হয় আম্পানের তাণ্ডব। সারারাত এটি দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর এটি রাজশাহীতে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।

About স্টাফ রিপোর্টার

Check Also

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *