চিকুনগুনিয়ার ও ডেঙ্গুর ঝুঁকি রাজধানীতে

রাজধানীতে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কিছুটা কমেছে। তবে আশঙ্কা, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে। দুটি রোগেরই জীবাণু ছড়ায় এডিস মশা। মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ব্যক্তি ও পরিবারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

‘চিকুনগুনিয়া’য় আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটে গিয়ে ঠেকতে পারে। শরীরে ব্যথা হবে। যোগ হবে প্রচণ্ড হাঁটু ও গিরা ব্যথা। ব্যথা এতো হবে যে রোগীর দাঁড়াতেই কষ্ট হবে। তাই অনেক জায়গায় একে ‘ল্যাংড়া জ্বর’ ও বলা হচ্ছে। অনেক সময়ে শরীরের বিভিন্ন জোড়া ফুলে যাবে। শরীরজুড়ে বের হতে পারে ডেঙ্গু জ্বরের মতো লাল দানাও।

চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, এ রোগের নির্দিষ্ট কোন ওষুধ নেই। স্বাভাবিক নিয়মে পাঁচদিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে ব্যথা ও জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এ রোগ হলে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দরকার নেই।

এ রোগ থেকে সাবধানতার উপায় হিসেবে মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস এবং মশা যেন না কামড়ায় সে দিকে খেয়াল রাখলেই নিশ্চিন্ত থাকা যায়। তবে ভাইরাসবাহী এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়।

এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘চিকুনগুনিয়া’হলে আতঙ্কিত না হয়ে বিশ্রাম ও বেশি বেশি তরল খাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এ কথা বলেন। চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

About স্টাফ রিপোর্টার

Check Also

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *