কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের পত্র বাহক ফারুক আহমেদ বিশেষ খামে সিলগালা অবস্থায় ঐ প্রতিবেদনটি সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসলে সিআইডির এএসআই মোশাররফ হোসেন তা গ্রহণ করেন।
জানা যায়, কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে গত ২০ মার্চ রাতে সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ উদ্ধারের পরদিন কুমেক হাসপাতাল মর্গে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন কুমেক ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা। এর দুই সপ্তাহের মধ্যেই গত ৪ এপ্রিল দেয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। কিন্তু ঐ প্রতিবেদনে তনুকে হত্যার কারণ ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ। তবে ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন করে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ১৪ মে কুমিল্লার আদালতে এসে পৌঁছায় নিহত তনুর সাতটি বিষয়ের ডিএনএ প্রতিবেদন।
গত ১৬ মে তনুর ভেজাইনাল সোয়াবে পৃথক তিনজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডি থেকে প্রকাশ করায় ঐ প্রতিবেদন নিয়ে দেশব্যাপী বেশ সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং প্রতিবেদনে তনুর মৃত্যুর কারণ উল্লেখ না থাকায় তথ্য আড়াল করার অভিযোগ এনে তা প্রত্যাখ্যান করে তনুর বাবা-মা ও স্বজনরাও। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্যে গড়মিল তথ্যের কারণে ঝুলে যায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন।
রবিবার ফরেনসিক বিভাগের পত্র বাহক ফারুক জানান, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সিআইডিতে হস্তান্তর করেছি। এর বেশি আমার কিছু বলার নেই।
এ বিষয়ে তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সভাপতি ও কুমেক ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার কক্ষে ব্যস্ত আছি, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে, গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে দুপুর একটার দিকে কথা বলব।