রিচি সোলায়মান। মডেল ও অভিনেত্রী। আজ বাংলাভিশনে প্রচার হবে তার অভিনীত ধারাবাহিক নাটক ‘মিলার বারান্দা’। নাটক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বললেন তিনি_
‘মিলার বারান্দা’ নাটকটি নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন?
সত্যি কথা বলতে গেলে, নাটক নিয়ে এখন আর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় না। ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের আলোচনার চেয়ে এখন বাংলা নাটক পিছিয়ে। নতুবা এত ভালো গল্প হওয়া সত্ত্বেও এ নাটকটি আলোচনার বাইরে থাকার কথা নয়। এটি এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার অবহেলার ফল।
নাটকের এ সংকট দূরীকরণে করণীয় কী?
প্রত্যেকের নিজস্ব জায়গা থেকে প্রতিরোধ দরকার। শিল্পীদের ব্যক্তিগত জীবন না ঘেঁটে ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সবার আন্তরিক পরিশ্রম দরকার। কারণ টেলিভিশন থেকে শুরু করে এ মিডিয়া অঙ্গন রক্ষার কোনো পদক্ষেপ এখন নেই। নিজ দায়িত্বে নিজের পেশার দায়িত্ব এখন সবাইকে বুঝে নিতে হবে।
অনেক দিন পর নাচ শুরু করলেন, এখন থেকে নিয়মিত হবেন?
নাচের প্রতি ভালোলাগা নিজের অজান্তেই। আমার অভিনেত্রী হওয়ার পেছনে নাচের অবদান অনেক বেশি। কিন্তু অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নাচে সময় দেওয়াটা এক সময় সম্ভব হতো না। কারণ নাচের অনুষ্ঠানগুলো হুটহাট চলে আসে। শুটিংয়ের ডেট যেহেতু আগেই দেওয়া থাকে, অনেক সময় আর সেগুলো করা হয় না। তবে চার-পাঁচ দিন সময় হাতে রেখে কোনো অনুষ্ঠান পেলে অবশ্যই নিয়মিত নাচের অনুষ্ঠান করব।
এখন কি ধারাবাহিক নিয়েই সব ব্যস্ততা?
এ মুহূর্তে মিলার বারান্দাসহ তিনটি ধারাবাহিকের কাজ চলছে। রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘টক অব দ্য টাউন’, আল হাজেনের ‘লড়াই’ ও অরণ্য আনোয়ারের ‘দহন’ এখন নিয়মিত প্রচার হচ্ছে। এরই মধ্যে সকাল আহমেদের ‘বাবুই পাখির বাসা’ নাটকের কাজ শেষ করেছি। এটি শিগগির প্রচার শুরু হবে।
একক নাটকের কাজ কি কমিয়ে দিয়েছেন?
একক নাটকের কাজ কমিয়ে দিয়েছি, এটা ঠিক নয়। ভালো গল্প ও সময় হলে অবশ্যই কাজ করি। সাংসারিক ব্যস্ততায় কোনো কাজই করা হয়নি। শ্বশুরবাড়ির সবাই ঢাকায় এসেছিল। এ মাসের মাঝামাঝি থেকে বেশকিছু একক নাটকে অভিনয় করছি।