ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দুটি ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাদাসিধে জীবনের দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যার একটিতে প্রধানমন্ত্রীকে মাছ শিকারের পর বড়শি হাতে এবং অন্যটিতে সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করতে দেখা যাচ্ছে।

শেয়ার করা প্রথম ছবিতে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার মধ্যেও চিরায়ত বাঙালি নারীর মতো গণভবনের বারান্দায় বসে সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করছেন। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী মাথায় হ্যাট পরে গণভবনের পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করেছেন। সেখানে বড়শিতে ঝুলছে একটি তেলাপিয়া মাছ। প্রধানমন্ত্রী মাছটির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।

এমন দৃশ্যের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

আজ শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান তাঁর ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দুটি ছবি শেয়ার করেন।

সেখানে সালমান ফজলুর রহমান লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিপূর্ণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে ১৭ কোটি বাংলাদেশির ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমকে আশ্রয় দিয়েছেন। এত কিছুর মধ্যেও তিনি তাঁর অবসর সময়টা রান্না, মাছ ধরা আর সেলাই করে উপভোগ করেন।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ছবি দুটি তাঁর ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। নানা গুণে গুণান্বিত একজন ষোল আনা বাঙালি।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘ক্যাপশন দেবার মতো বিদ্যা আমার নাই!’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সকালে ঘুম ভাঙার পর আগে জায়নামাজ খুঁজি। নামাজ পড়ি। তারপর কোরআন তিলাওয়াত করি। তারপর সকালের নিজের চা-টা নিজে বানিয়ে খাই। আমার ছোট বোন রেহানা আছে। যে আগে উঠে, সে চা বানায়। এখন আমার মেয়ে পুতুলও রয়েছে। সেও যদি ঘুম থেকে আগে ওঠে, তাহলে সেও চা বানায়। তার আগে নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি নিজের হাতে। চা খেয়ে বই-টই পড়ার থাকলে পড়ি। আর একটু হাঁটাহাঁটি করি। গণভবনে একটা লেক আছে। সেই লেকের পাশে বসে ছিপ দিয়ে মাছ ধরি।

About স্টাফ রিপোর্টার

Check Also

হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বৃহস্পতিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *