বরিশাল মহানগরীতে প্রথমবারের মত উৎপাদিত বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার বরিশাল লিমিটেডের ১১৯ দশমিক ৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নগরীর রূপাতলীর কীর্তনখোলা নদীর তীরে স্থাপন করা হয়েছে। ৯ একর জমির উপরে প্রায় পৌনে ৬ শত কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত পাওয়ার প্লান্টটি থেকে ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে।
এটি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ১৩তম বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখানে ২০০৬ সালে ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথমদিকে ভূমি উন্নয়ন ও পয়েন্টের অবকাঠামো নির্মাণের পর ২০১৫ সালের শুরুর দিকে মূল পয়েন্টের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর এখানে স্থাপন করা হয় ফিনল্যান্ডের ওয়াটসিলা কোম্পানির সর্বাধুনিক এইচএফও ইঞ্জিন।
সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং তাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি (ফার্নেস অয়েল) আমদানী ও সরবরাহ করে থাকে। এখানে জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ১৫ দিনের মজুত সংরক্ষণে ৭ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংকি বসানো হয়েছে।
বরিশালে এই প্রথম বেসরকারি উদ্যেগে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মানে আনন্দ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও বিদ্যুৎকেন্দ্রিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা।
Check Also
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের …