বিজয় দিবসের পরদিনই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-জলপাইগুড়ি রেল যোগাযোগ

পঞ্চান্ন বছর পর বিজয় দিবসের পরদিনই চালু হচ্ছে বাংলাদেশ-জলপাইগুড়ি রেল যোগাযোগ। ১৯৬৫ সালের পর আবার বাংলাদেশের চিলানহাটি থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রেন আসবে উত্তরবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে।

১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের পরদিন এই ট্রেনটির ফ্ল্যাগ অফ চিলানহাটি থেকে উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। সেদিনই একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১১ সালে শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দু দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য প্রসার চুক্তি সম্পাদিত হয় তারই ফসল এই রেল যোগাযোগ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের চিলানহাটি থেকে কোচবিহারের হলদিবাড়ি হয়ে এনজেপি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল চালু ছিল। যুদ্ধের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। চিলানহাটি, নিউ জলপাইগুড়ি, কলকাতা পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেনও খুব শীঘ্রই চলবে বলে রেলসূত্রে জানানো হয়েছে।

চিলানহাটি থেকে কোচবিহার এর নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলের অধীনে হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল ট্রাক এর সংস্কার করা হয়েছে। এই সংস্কারে বাংলাদেশ চিলানহাটি থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত ৬.৭২৪ কিলোমিটার ট্রাকে সাতটি সেতু বানিয়েছে। ভারত হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার রেল লাইন বসিয়েছে। এর ফলে কিছুদিনের মধ্যেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন বাংলাদেশের চিলানহাটি, ডোমার, তোরণবাড়ি, নিলফামারী, সৈদপুর, দর্শনা, পার্বতীপুর হয়ে গেদে সীমান্ত দিয়ে শিয়ালদহ পৌঁছাবে। এতে ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগের একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে।।

About স্টাফ রিপোর্টার

Check Also

হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বৃহস্পতিবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *