যারা দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য রোগে ভুগছেন, তারা বিপাকে

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬শে মার্চ থেকে চলছে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি। যে কারণে পরিবহনসহ সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যদিও স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংক এবং গণমাধ্যমের মত কয়েকটি খাত চালু রয়েছে।

বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জরুরি বিভাগে ডাক্তার নার্স থাকলেও, যেহেতু হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বসছেন না এবং তাদের প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ রয়েছে, সে কারণে সাধারণ রোগ কিংবা দীর্ঘদিন ধরে কোন অসুস্থতায় ভোগা মানুষের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যারা দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য রোগে ভুগছেন, তারা পড়েছেন বিপাকে। যেমন ক্যান্সারে ভুগছেন কিংবা চোখ ও দাঁতের সমস্যা যাদের, তাদের ওপর এর প্রভাব পড়ছে।

চিকিৎসা আটকে গেছে লকডাউনের কারণে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর অনেক হাসপাতালই অন্য স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আসা রোগী ভর্তিতে আপত্তি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু বারডেম জেনারেল হাসপাতাল প্রধান অধ্যাপক একে আজাদ খান বলেছেন, হাসপাতাল খোলা, তবে রোগীরাই আসছেন না।

ব্যাংক কর্মকর্তা বলছিলেন, তার হৃদ-রোগাক্রান্ত মাকে নিয়ে ছয়টি হাসপাতাল ঘুরে সপ্তম হাসপাতালে ভর্তি করাতে সক্ষম হন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে রোগ শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ এবং করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে সরকার। কিন্তু বিশেষায়িত বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সেবা দেয়া কার্যত বন্ধ রয়েছে। যদিও কিছু বেসরকারি হাসপাতাল দাবি করছে তাদের কার্যক্রম চলছে, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। এমনকি সরকারি হাসপাতালেও রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। বেশিরভাগেই জরুরী বিভাগে ডাক্তার-নার্স থাকেন, কিন্তু হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগে কেউ থাকেন না।

হাসপাতাল যদি ইমার্জেন্সিতে আসা রোগীকে চিকিৎসা না দেয়, তাহলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

About স্টাফ রিপোর্টার

Check Also

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *