রোজায় কী খাবেন?

সারা দিন রোজা রাখার পর অনেক কিছু খেতে ইচ্ছে করে৷ কেউ কেউ আবার সেহ্রির সময়ও অনেক ভারী খাবার খেয়ে ফেলেন৷ ভাজাভুজি ও ভারী খাবার খেলে পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, অবসাদ, আলসার, অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা ইত্যাদি হবে। অনেকের ওজনও বেড়ে যায়।

ইফতারের শুরুতে সাধারণ পানি ১-২ ঢোক পান করে এক গ্লাস বানানো ফলের শরবত হলে ভালো হয়৷ ইফতারের পর রাতের খাবার কিছুটা হালকা ও সহজে হজম হয় এমন হওয়া উচিত৷ ঢেঁকিছাঁটা-লাল চালের ভাতের সঙ্গে সবজি বেশি থাকা চাই৷ যেমন: লাউশাক, মিষ্টিকুমড়া, শসা, পটোল, ঝিঙে, কচুশাক, কচু ইত্যাদির ঝোলে তরকারি, এক টুকরা মাছ অথবা এক টুকরা মাংস হতে পারে। সেহ্রিতে খুব বেশি পরিমাণে খাবার না খেয়ে রুচি অনুসারে স্বাভাবিক খাবার খাবেন৷ সারা দিন খেতে পারবেন না বলে ইচ্ছামতো উদরপূর্তি করে খাবেন না৷ পেটের এক-চতুর্থাংশ খালি রাখবেন।

কী খাবেন:-
*খেজুর বা খোরমা অবশ্যই খাবেন। এতে আছে নানা উপাদান, যা সারা দিন রোজা রাখার পর খুবই দরকারি।
*সবজি ও ফল খেতে হবে নিয়মমতো৷ তা না হলে এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে নিত্যসঙ্গী।
*এই গরমে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি না খেলে হজমের সমস্যা হবে৷ ইফতারের পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একটু পর পর পানি খেতে হবে।
*আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন,খনিজজাতীয় খাবার খেতে হবে।
*আঁশযুক্ত খাবার যেমন: লাল আটা, বাদাম, বিনস, ছোলা, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলো হজম হয় আস্তে আস্তে, তাই অনেক সময় পর খিদে লাগে। রক্তে চিনির পরিমাণ তাড়াতাড়ি বাড়ে না।
*সেহ্রিতেও খুব বেশি খাওয়া বা সেহ্রি না খাওয়া ঠিক নয়। সেহ্রি না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে।
*প্রতি বেলা মাংস না খেয়ে অন্তত একবেলা মাছ খেতে চেষ্টা করতে হবে।
*বেশি দুর্বল লাগলে ডাবের পানি বা স্যালাইন খেতে পারেন ইফতারের পর।

কী খাবেন না:-
*চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিলে ভালো হয়। এটা খুব তাড়াতাড়ি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ওজন বাড়ায়।
*চা, কফির মাত্রা কমাতে হবে। তা না হলে পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
*তেল দিয়ে ভুনা করে খাওয়া ঠিক নয়।
*বর্জন করতে হবে ভাজাপোড়া রাস্তার ধারে, ফুটপাতে, অলিতে-গলিতে, হাটে-বাজারে বসে যাওয় ইফতারে, ভেজাল তৈল ও বেশনের ব্যবহার, কৃত্রিম রং মিশানো, একই তেল বারবার ব্যবহারের কারণে পেটের অসুখেরও কারণ হতে পারে।

 

About স্টাফ রিপোর্টার

Check Also

পিঠ ব্যথার সমস্যা যন্ত্রণাদায়ক

পিঠ ব্যথার সমস্যা যে কারো জন্যই খুব যন্ত্রণাদায়ক। সারাদিন এক ভাবে চেয়ারে বসে পিঠে ব্যথা-বেদনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *