মানবপাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করেছে কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডি।
রোববার (৭ জুন) বিকেলে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার কারবারের অভিযোগ রয়েছে।
কুয়েতের সিআইডি তাকে মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসকে এখন পর্যন্ত কোন তথ্য দেয়া হয় নি। সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
কুয়েতের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ১০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করেছে সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ। বাংলাদেশের এমপি কাজী পাপলুর নামও এই তালিকায় ছিল। কুয়েতে বিরাট ব্যবসা রয়েছে তার। মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে কুয়েতেই অবস্থান করছেন তিনি।
দেশটির নিরাপত্তা বিভাগ বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যকে খুঁজছে যার অবৈধ ভিসার ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তার কোম্পানি যাতে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পায় সেজন্য বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ঘুষ হিসেবে ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন।
পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রেফতার ওই ব্যক্তি ৩ জনের একটি গ্যাংয়ের সদস্য। গ্যাংয়ের অন্য দুই সদস্য আগে থেকে বিপদ আচ করতে পেরে দেশ থেকে পালিয়েছেন।
আল কাবাস আরও জানায়, এই ৩ ব্যক্তি দেশটির বড় বড় ৩টি কোম্পানির অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কুয়েতে গেছেন। বিনিময়ে ৫ কোটি দিনারেরও বেশি আদায় করেছেন তারা। পত্র-পত্রিকাতে যে বাংলাদেশি নাগরিকের কথা বলা হচ্ছে তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহীদ ইসলাম পাপলু।