সুশান্ত সিং রাজপুত এর তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে। আর এরই মধ্যে অভিনেতার বন্ধু স্যামুয়েল হাওকিপ এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন। নাম জোরালো অভিনেত্রী সারা আলি খানের। স্যামুয়েল জানালেন কেদারনাথ ছবিতে অভিনয় করার সময় নাকি সুশান্ত ও সারা পরস্পরের প্রেমে পড়েছিলেন।
ছবির প্রচারের ইভেন্ট গুলিতেও দুজনকে সব সময় এক সঙ্গেই থাকতে দেখা যেত। তাদেরকে আলাদা পর্যন্ত নাকি করা যেত না। কিন্তু এরপরে মুক্তি পায় সুশান্তের আরেকটি ছবি সোন চিড়িয়া। সেই ছবি হিট না করার পর সারা নাকি সুশান্তের সঙ্গে ব্রেকআপ করেন। স্যামুয়েল একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, “কেদারনাথ ছবির প্রচারের সময় গুলো আমার মনে আছে। সুশান্ত ও সারা তখন পরস্পরের প্রেমে মুগ্ধ। ওদের প্রেম শিশুদের মতো নিখাদ ছিল। পরস্পরকে ওরা খুবই শ্রদ্ধা করতেন, যা আজকের দিনের সম্পর্কে দেখা যায় না।”
স্যামুয়েল আরো বলেছেন যে, বলিউড মাফিয়াদের পরামর্শেই হয়তো সারা ব্রেকআপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সোন চিড়িয়া বক্স অফিসে লাভ করার পরেই তিনি ব্রেকআপ করেছিলেন।
কেদারনাথ ছবি মুক্তির সময় বলিউডে এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল যে সুশান্ত ও সারা পরস্পরের প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু তাদের কেউই এই সম্পর্ক নিয়ে কোনদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে তখন মুখ খোলেননি। এরপরই এই বিষয় নিয়ে কঙ্গনা রানাউত আরো একটি টুইট করেছেন।
তিনি ফের নেপোটিজম প্রসঙ্গ টেনে এনে লিখেছেন, “সারা ও সুশান্তের সম্পর্কের গুঞ্জন সমস্ত মিডিয়াতে প্রকাশ পেয়েছিল। এমনকি আউটডোর শুটিং এর সময় ওরা দুজন একটাই রুম শেয়ার করছিলেন। একজন দুর্বল আউটসাইডার কে এই ফ্যান্সি নেপোটিজম কিড কেন এত স্বপ্ন দেখিয়েছিল?
আর তারপরে জনসমক্ষে ব্রেকআপ করে দিল? বোঝাই যায় তারপরে যথেষ্ট দুঃখে ছিলেন সুশান্ত।” প্রসঙ্গত কেদারনাথ সারা আলি খানের প্রথম ছবি। সেই ছবিতে অভিনয় করার পর সুশান্তের সঙ্গে তার নাম জড়ায়। একটি সাক্ষাৎকারে করিনা কাপুরকে সেই সময় জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে সারাকে যদি কোনো পরামর্শ দিতে হয় তিনি কী বলবেন?
উত্তরে করিনা বলেছিলেন, “তোমার প্রথম ছবির হিরোর সঙ্গে কখনো সম্পর্কে জড়িয় না”। কথাটি বলার সময় করিনার অভিব্যক্তিও ছিল লক্ষ্য করার মতো।
কথাটি বলার সময় করিনার চোখে মুখে ছিল বিরক্তি আর ঘৃণা। সেই ভিডিওটি সুশান্তের মৃত্যুর পর ফের ভাইরাল হয়েছিল। তার জন্য ট্রোলিং এর শিকার হতে হয় করিনাকে। যদিও সুশান্তের মৃত্যুর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।